শীতকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু অনেকেই সকালে শীতের কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হতে চান না। এতে শরীরে নানা সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় হাঁটাহাঁটি বা শরীরের কার্যকলাপ ঠিক না রাখলে হজমশক্তি কমতে থাকবে। কোনও খাবারই সঠিকভাবে হজম করতে পারবেন না। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হবে। শীতে হজমশক্তি বাড়াতে, রাতে ভালো ঘুমাতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। যেমন-
১. প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটুন। যাতে খাবার খুব সহজে হজম করতে পারবেন।
২. শীতকালে উষ্ণ গরম পানি খেলে হজম শক্তি বাড়তে থাকবে। সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে, শরীরও সুস্থ থাকবে।
৩. শীতে নানা ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায়। এগুলি খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। যেমন- পালংশাক, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। এগুলি খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়বে। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতিও পূরণ হবে। এতে ভালো ঘুমাতে পারবেন।
৪. শীতকাল নিয়মিত পালং শাক খান। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড থাকে। তাছাড়াও ফাইবার থাকে। তাই হজম শক্তি বাড়াতে শীতকালে ভরসা রাখতে পারেন পালংশাকের উপর। এটি খেলে পেট পরিষ্কার থাকবে। পালংশাক দিয়ে ডাল, স্যুপ, সালাদ করে খেতে পারেন।
৫. শীতকালে যতটা সম্ভব মসলাদার খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তা না হলে হজমশক্তি কমতে থাকবে। এই সময় সুষম খাবার খাবেন। এগুলি শরীরও খুব ভালো থাকবে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়বে।
৬. শীতকালে যতটা সম্ভব যোগব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকবে।
৭. শীতকালে ঘি খেলে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। তবে হালকা খাবেন। না হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে।
৮. শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে টমেটো থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অক্সিডেন্ট থাকে। যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি এটি পেটের আলসার সারাতে সাহায্য করে। এই সবজিতে লাইকোপিন নামক একপ্রকার আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।