নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির কক্ষে আলিফ হোসেন নামে এক সহপাঠিকে ছুরিকাঘাত করেছে নিরব নামে এক ছাত্র। তারা দুজনই সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের ভিতরে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বা পুলিশ কোনো কথা বলতে রাজী নয়। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন ঘটনাটি জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা জানায়, ৭ম শ্রেণির ক শাখায় পাঠদানের সময় শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক না থাকায় আলিফ ও নিরবের মধ্যে হঠাৎ করেই তর্কাতর্কি হয়। এরই এক পর্যায়ে নিরব তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে আলিফকে আঘাত করে। এসময় ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীরা নিরবকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। নিরবের ছুরির আঘাতে আলিফের পায়ে ও গলার নিচে ক্ষত হয়। পরে শিক্ষকরা এসে আলিফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে। পরে আলিফের অভিভাবকদের ডেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও তিনি কাউকে কিছুই বলেননি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, তিনি বিদ্যালয়ে একটি ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। পরে জানতে পারেন ঘটনাটি বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ কথা বলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যান তিনি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু অবহিত করেনি।
গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।