কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জেএন (যোগেন্দ্রনাথ) পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ এনজিও’র কাছে ভাড়া দিয়ে আর্থিক সুবিধা ভোগ অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সোমবার সরেজমিনে গেলে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণে বাঁধা সৃষ্টি করেন এবং এক পর্যায়ে বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেনএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলার শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় জানালা দিয়ে দেখা যায় ব্লাক বোর্ডের জায়গায় দিশা স্বেচ্ছাসেবী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক কল্যাণ সংস্থা ও সার্বিক সহযোগিতায় পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যানার লাগানো এবং টেবিলের ওপর বেশকিছু ফাইলপত্র রাখা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান মো. মখছেদুর রহমান শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ এনজিও’র কাছে ভাড়া দিয়ে আর্থিক সুবিধাভোগ করছেন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে কোনোভাবেই মুখ খুলতে রাজি হননি।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের নিকট শ্রেণিকক্ষে এনজিও’র ব্যানার ও টেবিলে ফাইল রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কোনো সদুত্তর দেননি। এছাড়া ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গেলে বাঁধা সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এনজি’ওর লোকজন চতুর্থ তলায় উঠে মিটিং করতে দেখা যায়। এটা বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় বলে জানেন তারা। শ্রেণিকক্ষ এনজিও’র কাছে ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাজমুল হক জানান, তিনি কুমারখালীতে সদ্য যোগদান করেছেন। যে কারণে বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।