সংশোধন হচ্ছে নিকাহনামা ফরম - দৈনিকশিক্ষা

সংশোধন হচ্ছে নিকাহনামা ফরম

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: সংশোধন হচ্ছে মুসলিম বিবাহের নিবন্ধন ‘নিকাহনামা’ ফরম। ফরম থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে নারীর প্রতি অবমাননাকর প্রশ্ন ‘কন্যা কুমারী’ কি না। নতুন ফরমে দফাটি সংশোধন করে ‘কন্যা অবিবাহিত, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না?’ সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে খসড়া ফরম প্রস্তুত করেছে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা খসড়া ফরমটি আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১ঌ৭৪-এর যে বিধিমালা ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রণয়ন করা হয়, তাতে নিকাহনামা ফরমে (বাংলাদেশ ফরম নম্বর ১৬০১) মোট ২৫ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়। ওই ফরমের ৫ নম্বর দফায় তথ্য চাওয়া হয়েছে—‘কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না?’ হাইকোর্ট এক রায়ে এই দফাটি পরিবর্তন ও সংশোধন করতে বলেছেন। 

বর্তমান নিকাহনামা ফরমের ২১ নম্বর দফায় জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘বরের কোনো স্ত্রী বর্তমানে আছে কি না এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিসি কাউন্সেলের অনুমতি লইয়াছে কি না?’

নতুন খসড়া ফরমে এই অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘বর বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কি না? স্ত্রী থাকিলে কতটি এবং অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিসি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?’ এ ছাড়া যে কজন স্ত্রী বর্তমান থাকবে, তাঁদের বিষয়েও তথ্য দিতে হবে নতুন ফরমে।

জনস্বার্থে ‘নিকাহনামা সংশোধন’ চেয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে একটি মামলা (রিট পিটিশন নং ৭৮৭৮/২০১৪) করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে রায় দেন। রায়ে নিকাহনামা ফরম থেকে ‘কুমারী’ শব্দ বাদ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, কুমারী শব্দ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি কাবিননামার ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বরের বর্তমান বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করারও নির্দেশ দেন আদালত।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, নিকাহনামার ২১ ও ২২ নম্বর দফায় বরের বর্তমানে কোনো বিবাহ বলবৎ আছে কি না, কেবল সে বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বর তালাকপ্রাপ্ত বা বিপত্নীক অথবা কুমার কি না, এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়নি। অন্যদিকে, ৫ নম্বর দফায় কন্যা তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা কি না, পাশাপাশি কন্যা আগে কোথাও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন কি না—এ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা অপমানজনক, বৈষম্যমূলক, পক্ষপাতদুষ্ট ও সংবিধানের পরিপন্থী।

জানা গেছে, নতুন ফরমটি খসড়া করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠায় পিবিআই। সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। খসড়া ফরমে পিবিআইপ্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার স্বাক্ষর করেছেন। 

খসড়া ফরমটির বিষয়ে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার  বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী খসড়া ফরম প্রস্তুত করে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি হয়তো শিগগিরই আনুষ্ঠানিকতা পাবে।

যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার - dainik shiksha কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত - dainik shiksha উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে - dainik shiksha ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের - dainik shiksha জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032610893249512