দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: সকালের নাশতা খেতে অনেকেই অবহেলা করেন। নিয়মিত সকালের নাশতা করলেই ৫টি ম্যাজিক্যাল পরিবর্তন ঘটবে আপনার মধ্যে।
পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের নাশতার অভাবে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। যা দ্রুতই শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। তাই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে নিয়মিত সকালের নাশতা গ্রহণ করা জরুরি। সকালের নাশতার গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা নিশ্চিত করতে সকাল ৯টার মধ্যেই ব্রেকফাস্ট শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী আসুন জেনে নিই সকালের নাশতার আরও কিছু উপকারিতার কথা। এগুলো হলো-
১। সারাদিনের শক্তির যোগান দেয় সকালের নাশতা। শরীরের বিপাকক্রিয়াও স্বাভাবিক রাখে।
২। নিয়মিত সকালের নাশতায় ক্লান্তি ও দুর্বলতা আপনার নাগাল পাবে না। সারাদিন ফ্রেশ মনে কাজ করার উৎসাহ পাবেন।
৩। সকালের সুষম নাশতায় সুস্বাস্থ্য যেমন নিশ্চিত হয় তেমনি যেকোনো কাজে মনোযোগও বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ।
৪। ভারতীয় ডা. পলানিয়াম্মা দুরাইরাজ মনে করেন, যদি সকালের নাশতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি রাখা যায় তবে তা মস্তিষ্কর সুস্থতা নিশ্চিত করে। সেই সাথে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে।
৫। সকালের নাশতায় শস্য ও বীজ জাতীয় খাবার খাওয়ার অ্যভাস করলে যে কোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করতে পারে ব্রেইন। সেই সাথে মানসিক অস্থিরতা আর দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্ত রাখতে কাজ করে সকালের নাশতা।
মনে রাখবেন, যেহেতু সকালের নাশতা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, তাই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই সকালের নাশতার সময় ও খাবার ঠিক করুন। কেননা চিকিৎসকরা বলছেন, রাতের খাবার ও সকালের নাশতার মধ্যে ১২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।