টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা পাওয়া প্রধান শিক্ষকের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা।
শনিবার (২৬ আগষ্ট) উপজেলার মোখতার ফোয়ারা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওই দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মিথ্যা তথ্যের অভিযোগে ওই প্রধান শিক্ষককে দণ্ড দেয়া হয়েছে। ওই শিক্ষক ষড়যন্ত্রের শিকার। তারা মিথ্যা কলঙ্ক থেকে ওই শিক্ষকের নিঃশর্ত মুক্তিসহ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলার সাড়াসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুবেল মিয়া, সূর্যতরুণ শিক্ষাঙ্গন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মানিবুর রহমান, সহকর্মী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা, সাবেক শিক্ষার্থী নিশাত দীপ, এলাকাবাসীর পক্ষে দুলাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খান রফিক, কালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামাল হাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছেন এমন বর্ণনা দিয়ে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে গত ৯ আগস্ট ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ দেন। গত ১৪ আগস্ট ইউএনও ঘটনা তদন্ত করতে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উত্ত্যক্তের অভিযোগে এক মাসের সাজা দেন।
দণ্ডিত প্রধান শিক্ষকের ছেলে ধোপারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সায়মন জাহিদ বলেন, ম্যানেজিং কমিটি ও ওই বিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষিকার সঙ্গে আমার বাবার দ্বন্দ্ব ছিলো। আমার বাবা ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি চিকিৎসা জনিত ছুটিতে ছিলো। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মহোদয় আমার বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে উত্ত্যক্তের অভিযোগে এক মাসের সাজা দেন। এ বিষয়ে আমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেছি। কাল রোববার এ বিষয়ে শুনানি হবে। আশা করি ওইদিন আমার নির্দোষ বাবা মুক্তি পাবেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজান আলম বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য সমীচীন নয়।