সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে ক্যাশলেস সোসাইটি আর ডিজিটাল কর ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তনে গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীসহ অন্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংকোচন নীতি আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংকোচন নীতি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য এটা কারণ।
ব্যাংক ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ক্যাশলেস সোসাইটি আর ডিজিটাল কর ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তনে গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে।
প্রশ্নপর্বে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা করব, যেটা এখন চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হিসাবে প্রাক্কলন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখার চেষ্টা করব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।