কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শরীর চর্চা শিক্ষক হাসিবুর হাসানের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে আহত অফিস সহকারী আনোয়ারুল ইসলামের ঘাড়ে দোষারোপ চাপিয়ে দিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঘটনাটি ঘটেছে চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদরাসায়।
জানা গেছে, গত ৫ জুন, জেলার চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদরাসায় বিকেলে অধ্যক্ষ নাজমুল হকের অফিস রুমের সামনে বসে থাকা অফিস সহকারী আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে একই প্রতিষ্ঠানের শরীর চর্চা শিক্ষক হাসিবুর হাসান ও তার বড় ভাই হামিদুর রহমান অতর্কিতভাবে হামলা চালান। হামলার শিকার হয়ে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি হলে তার অবস্থা গুরুতর হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাদরাসার অধ্যক্ষের সামনে অফিস চলাকালীন যে শিক্ষক হামলা করলেন তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উপরন্ত নির্দোষ অফিস সহকারী আনোয়ারুল ইসলামকে দুটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন করেন অধ্যক্ষ।
নোটিশের জবাব দেয়ার পরও অধ্যক্ষের কাছে সন্তোষজনক না হওয়ায় গত রোববার তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বৈষম্যমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ।
আহত অফিস সহকারী অধ্যক্ষকে গত ১১ জুন অভিযোগ করলেও তিনি হাসিবুরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে অফিস সহকারী আনোয়ারুল ইসলামকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন অধ্যক্ষ।
মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আব্দুল কাদেরের শ্যালক এবং দাতা সদস্য হাফিজুর রহমানের আপন ছোট ভাই শরীর চর্চা শিক্ষক হাসিবুর রহমান। সে কারণে অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর কৌশল অবলম্বন করেন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে অফিস সহকারী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায়বিচার কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ নাজমুল হক জানান, কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ও গভির্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।