বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকায় গতকাল রবিবার রাতে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ যারা আহত হয়েছেন তাদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন উপদেষ্টা।আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঢামেক হাসপাতালে আসেন।
উপদেষ্টারা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও অন্য আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। পরে ঢামেক হাসপাতাল থেকে বের হওয়া সময় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘কালকের ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত। আহত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আগের চেয়ে ভালো আছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল, তাদের দাবি আদায়ের এজেন্ডা ছিল না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। লাঠি তাদের স্টকে ছিল। আমরা দেখেছি কীভাবে তারা ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। যেসব ছাত্র স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, যারা আমাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ, তাদের রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মেরেছে। আনসারদের দাবি ছিল রাত ১০টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন করে চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। অসম্ভব ও অবাস্তব দাবি তুলেছিল অনসাররা।’
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মনে হচ্ছে দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে, ধান কাটার মৌসুমের মতো। প্রতিটা দাবির সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। যেখানে সরকারের ব্যয় বাড়বে। সরকারের রাজস্ব তো হঠাৎ করে রাতারাতি বেড়ে যাবে না। কীভাবে দাবি মেটাব, টাকা ছাপতে পারি, তবে টাকা ছাপলে মূল্যস্ফিতি বেড়ে যাবে। তখন সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবকিছু হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার বানের জলে ভেসে আসে নাই। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে এনেছে। এটা জনপ্রত্যাশার সরকার। আমরা গত সরকারের সবকিছু জানি। তবে আমাদের সময় দিতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।