শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে গত শুক্রবার প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে যাতে আজীবন সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চপর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে এ সম্মেলনে যোগ দেন দীপু মনি। সম্মেলনের মূল বিষয় ছিলো- পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতায় গুরুত্ব দিয়ে এসডিজি’র টার্গেট ৪.৬ অর্জন। এটি জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়, প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু ও অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। আমাদের সমাজের সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষকে সহায়তা করতে হবে। তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে। সাক্ষরতা এই সমস্ত কিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি স্টেকহোল্ডার ও সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথাও বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা জীবনব্যপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার উপর গুরুত্বারোপ করছি। সাক্ষরতাকে মৌলিক দক্ষতা বিকাশ এবং জীবনব্যাপী শেখার সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে এটি করা হবে।