গাজীপুরে সম্পদের তথ্য গোপন করায় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার গাজীপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. মুকুল গাজী। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার কলুপোতাপাড়া এলাকার মুনসুর গাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি গাজীপুর মহানগরীর কুনিয়া বড়বাড়ি (এমজি) বাজার এলাকায় সালমা কমপ্লেক্স এলাকায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মো. মুকুল গাজী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে অর্জিত ৬০ লাখ ৩৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে কমিশনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেন। তার গোপনকৃত সম্পদসহ মোট ৩ কোটি ২৬ লাখ ৬৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক তা দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদক সূত্রে আরো জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় কর্তৃক অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্যে মুকুল গাজীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার নামে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করেন। পরে মুকুল গাজী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনে তার নিজ নামে মোট ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ২৪১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ৭২ লাখ ৯১ হাজার ৩১৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৬ কোটি ৩১ ৪১ লাখ ৫৫৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জনের হিসাব দাখিল করেন। পরে তার সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে তিনি তার প্রকৃত সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। যার পরিমাণ ৬০ লাখ ৩৮১ টাকা। সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের গাজীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তদন্তকালে মুকুল গাজী এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে আর কোনো সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে।