মাদরীপুরের ডাসার উপজেলার সরকারিকৃত শেখ হাসিনা একাডেমি ও উইমেন্স কলেজে অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষের দায়িত্ব থাকা আত্তীকৃত প্রভাষক জাকিয়া সুলতানা ও তার স্বামী প্রভাষক দেলোয়ার হোসেনকে অন্য কোথাও বদলি করে দেয়ার সুপারিশ করেছেন ইউএনও। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত শেষে এ সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কলেজের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত একজন অধ্যক্ষকে পদায়ন দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ডাসার উপজেলার সরকারিকৃত শেখ হাসিনা একাডেমি ও উইমেন্স কলেজে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত শেষে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
সরকারিকৃত শেখ হাসিনা একাডেমি ও উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব থাকা প্রভাষক জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠতে তা তদন্ত করতে ডাসারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীনকে দায়িত্ব দেন ডিসি ড. রহিমা খাতুন। সে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রভাষক জাকিয়া সুলতানা ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে অন্য কোথাও বদলি করে দেয়ার সুপারিশ করেছেন ইউএনও। এ সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলেছেন ডিসি।
গত বুধবার জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন এসব বিষয় জানিয়ে চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের কাছে পাঠিয়েছেন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে থাকা নথী বলছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই কলেজে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে বলা হয়েছিলো ডাসারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। ইউএনও সারমীন ইয়াছমীন গত ২২ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ডিসির কাছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনে কলেজের পড়াশোনার মান খারাপ হওয়ার কারণ চিহ্নিত করেছেন এবং সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক ও অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) জাকিয়া সুলতানার নানা প্রশাসনিক, আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম উল্লেখ করেছেন। তদন্তে জাকিয়া সুলতানার দুর্নীতি ও গুরুতর অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে ৩টি সুপারিশ করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশগুলো হলো, সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক ও বর্তমান অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে উত্থাপিত গুরুতর প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা, কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক উন্নয়নে অবিলম্বে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের একজন যোগ্য অধ্যক্ষ নিয়োগ করা এবং সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে আত্তীকৃত জাকিয়া সুলতানা এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে অন্যত্র বদলী বা সংযুক্তির ভিত্তিতে পদায়নের ব্যবস্থা করা।
শিক্ষা সচিব সোলেমান খানকে পাঠানো ডিসি ড. রহিমা খাতুনের চিঠির কপি দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে আছে। এতে তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করে তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন ডিসি।
এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা প্রভাষক জাকিয়া সুলতানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।