দেশের ৫৪০টি সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর দুইটায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ভর্তির লটারির আয়োজন করা হবে। স্কুলে ভর্তির নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd/) লটারির ফল দেখা যাবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বেসরকারি স্কুলের ভর্তির লটারি।
জানা গেছে, সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আগামী বছর বা ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলো এবং ঢাকা মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলের ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ইতোমধ্যে ভর্তির আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ৫৪০টি সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শূন্য থাকা আসনে ভর্তি হতে ৬ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন। এ শিক্ষার্থীরা প্রতিটি আবেদনে পাঁচটি করে স্কুল পছন্দ দিতে পেরেছিলেন।
অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করতে হবে সরকারি স্কুলগুলোতে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ১ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি স্কুলগুলোতে ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। একইসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ২ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত থাকবে বলেও নীতিমালায় জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকলে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে।