সরকারের এ মেয়াদেও আলোর মুখ দেখলো না শিক্ষা আইন - দৈনিকশিক্ষা

সরকারের এ মেয়াদেও আলোর মুখ দেখলো না শিক্ষা আইন

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : সরকারের এ মেয়াদেও আলোর মুখ দেখলো না শিক্ষা আইন। একযুগের বেশি সময় আগে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে এ আইনটি প্রণয়নে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিলো। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় পরও এ আইন প্রণীত হয়নি। আইনের খসড়ায় কাঁটা ছেড়াতেই গিয়েছে এ দীর্ঘ সময়। সরকারের চলতি মেয়াদে এ আইনটি বিল আকারে সংসদে পাস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকারের এ মেয়াদে আগামী ২ নভেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে সংসদ। তাই এ মেয়াদে শিক্ষা আইন আর আলোর মুখ দেখছে না। আগামী মেয়াদে যদি দেখে....।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা আর কাটাছেঁড়া গত এক যুগেও শেষ হয়নি। তাই নীতিগত অনুমোদনের জন্য আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে ওঠানোর পরও নানা অসঙ্গতি থাকায় তা ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে তৃতীয়বারের মতো খসড়াটি তোলা হয় মন্ত্রিসভায়। সেবারও ‘নানা অসংগতি’ থাকার কারণ দেখিয়ে ফাইলটি ফেরত পাঠিয়ে ‘অধিকতর পরীক্ষানিরীক্ষা’ করতে বলা হয়। এভাবে মোট তিনবার আইনের খসড়া ফেরত এসেছে মন্ত্রিপরিষদ থেকে, কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। কিন্তু প্রণীত ও কার্যকর হয়নি কাঙ্ক্ষিত আইন। এ আইনটির মাধ্যমে কোচিং ও নোট-গাইড ব্যবসায় লাগাম টানার পরিকল্পনা ছিলো শিক্ষা প্রশাসনের। 

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, কোচিংয়ের বিষয়গুলোতে আমরা ওয়াকিবহাল। নীতিমালা, আইন অনেক কিছু থাকে। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয় না। তবে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে ক্লাসের পড়ার জন্য আর কোচিংয়ের প্রয়োজন হবে না। কোচিংরা অন্য (দক্ষতার) কোচিং করবেন। এখন যেমন আইএলটিএসের কোচিং হচ্ছে। 

তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে কোচিংয়ে শেখা কিছু নেই। কোনো বাচ্চা কোচিং করলে কেনো করছে, ও কি গ্রপভিত্তিক কাজ কোচিংয়ে করছে? কোচিং বন্ধ হচ্ছে দেখেই শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে এতো অপপ্রচার। কোচিং যদি চলতোই তাহলে এতো অপপ্রচার হতো না। 

২০১০ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ নানা উদ্দেশ্যে সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছিল। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের পর ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ২৪টি উপকমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যার একটির উদ্দেশ্য ছিলো শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়ন। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ - dainik shiksha পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম - dainik shiksha ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে - dainik shiksha আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে - dainik shiksha ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি - dainik shiksha কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031890869140625