সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে : মঈন খান - দৈনিকশিক্ষা

সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে : মঈন খান

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু এই সরকারের শিক্ষানীতি হলো দেশের মানুষকে অশিক্ষিত করে রাখা। মানুষ যাতে তাদের অধিকারের কথা বলতে না পারে, তারা শিক্ষিত হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে। তবে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করবো। আমাদের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। 

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ইফতার মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কারাবন্দী রুহুল কবির রিজভীসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি দাবিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউট্যাব। দোয়া ও ইফতার মাহফিলে ৬০ জন গরিব, অসহায় ও পথশিশুদের মধ্যে ঈদের নতুন পোশাক উপহার বিতরণ করেন অতিথিরা।

আব্দুল মঈন খান আরো বলেন, সরকার আবারো দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। তারা মানুষের মতামতের তোয়াক্কা করে না। যেমনটি তারা ৭২ খ্রিষ্টাব্দে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলো।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতায় দেশে অসিষ্ণুতা ও বৈষম্য দেখা দিয়েছে জানিয়ে মঈন খান বলেন, বিশ্বের যে দেশে এ ধরনের বৈষম্য বিরাজমান, সে দেশে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। আজকে ঢাকা শহরে শুধু ফ্লাইওভার আর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দেশের মানুষের উন্নয়ন হয় না। যদি না আমরা মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা দিতে না পারি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আমরা স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানের শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য। কিন্তু এই সরকার আবারো দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। তারা মানুষের মতামতের তোয়াক্কা করে না। যেমনটি তারা ৭২ সালে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলো। আজকে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করতে পারবো।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক মুক্তি। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিণো। আমরা সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো ইনশাআল্লাহ। হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জনগণের কাছে ফেরত দেয়া হবে।

ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নূরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইউট্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদসহ অনেকে।

৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057930946350098