প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার কার্যক্রম আগামী মাসে উদ্বোধন করতে চায় সরকার। তবে এখনও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কাজ চালিয়ে নিতে গত রোববার অর্থ বিভাগের বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা উপবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খানকে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই উপবিভাগের আরেক অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্তভাবে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সদস্য নিয়োগ হলে তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের। সংস্থাগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আগস্টের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করার আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের চাকরি বিধিমালা এরই মধ্যে জারি হয়েছে। কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, পেনশন কর্মসূচিতে যোগদানের যোগ্যতা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধিমালা এবং জাতীয় পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বিধিমালা শিগগিরই জারি হবে।
জাতীয় সংসদে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল পাস হয় গত জানুয়ারিতে। এতে বলা হয়, ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারবেন। ৬০ বছর বয়স থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। ৫০ বছরের অধিক বয়সীরাও সর্বজনীন পেনশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে অন্যদের মতো ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন না তারা। ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর তারাও আজীবন পেনশন পাওয়া শুরু করবেন। কেউ ৬০ বছর বয়সে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর ৭০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন।
এদিকে, এ ধরনের অন্য বড় কর্মযজ্ঞের ক্ষেত্রে পাইলট ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চললেও এ ক্ষেত্রে উদ্বোধনের দিন থেকেই দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ এ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।