দৈনিক শিক্ষা ডটকম, শাবিপ্রবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরসহ বিশ্বদ্যিালয়ের বিভিন্ন বিভাগরে শিক্ষকরা।
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়েছে, সরকার সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এর অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হোন না কেন, ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হবে।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি মনে করে, এ প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন।ঘোষিত প্রজ্ঞাপন শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর। এ প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাখান করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানায় শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সমালোচনা করে বলেন, সর্জনীন বলতে আমরা বুঝি, সবার জন্য। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের ওপর যে স্কিম চালু করা হচ্ছে, এটি খুবই বৈষম্যমূলক। এ প্রজ্ঞাপন অতি দ্রুত প্রত্যাহারের আবেদন জানান তিনি। আগামী ১৩ মে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কালো ব্যজ ধারণ করে মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য এটম বোমার প্রয়োজন হয় না। শুধু শিক্ষকদের সুবিধাবঞ্চিত করাই যথেষ্ট। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে শিক্ষকদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। ফলে দেশ মেধাশূন্য হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মেধাবীরা দেশে থাকুক এটা হয়তো একটা শ্রেণি চাচ্ছে না। এদেশে শিক্ষকদের কদর করা হয় না বলেই তারা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বৈষম্যমূলক’ সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানান।