ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত সাঈদ (১৭) মারা গেছেন। এ ঘটনায় মো. সুমন (১৭) নামের আরেক স্কুলছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদের মৃত্যু হয়। এর আগে ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা গ্রামে তাকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটনা ঘটে।
নিহত সাঈদ উপজেলার দেওখলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সুমন একই এলাকার বাসিন্দা। তারা এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত সাঈদের সহপাঠী বলেন, সাঈদ ও শ্রাবণ হরে কৃষ্ণ উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র। একই সঙ্গে তারা প্রাইভেট পড়তো। মঙ্গলবার প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কাঠগোলা এলাকায় আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় মণ্ডলবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী হেঁটে যাচ্ছিল। শ্রাবণ মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলে ‘আল্লাহ আমারে একটা দিলা না’। এ কথা শুনে মেয়েদের পিছনে হেঁটে আসা ওই স্কুলের ছাত্র সুমন প্রতিবাদ করে। এনিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।
এ ঘটনার জেরে পরদিন বুধবার ছুরি নিয়ে শ্রাবণ ও সাঈদকে খুঁজতে আসে সুমন। মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে আবারও ঝগড়া শুরু হয় তাদের সঙ্গে। একপর্যায়ে সুমন শ্রাবণের পেটে ছুরিকাঘাত করে। দৌড়ে পালাতে চাইলে সাঈদকেও ছুরিকাঘাত সুমন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সাঈদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাতে সাঈদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মূল আসামি সুমনকে আটক করা হয়।