ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বুধবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে সাংবাদিকতা: বাংলাদেশ ও বাকি বিশ্ব শীর্ষক আলোচনা সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকতাকে শুধু আর্ট হিসেবে বিবেচনা না করে এটাকে বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাহলে সংবাদ মাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত হবে এবং সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্যের সবগুলো দিক বিবেচনায় নিয়ে সংবাদ উপস্থাপনে সক্ষম হবেন।
তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মানুষের সম্পৃক্ততা না থাকলে তথ্যকে ঝাপসা করে দেখা। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মানুষের সম্পৃক্ততা যত গভীর হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ততো সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মো. আবু নাসের, বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। শুরুতেই একবছর মেয়াদি সান্ধ্যকালীন ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়েছিলো। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে এই বিভাগে দুই বছরের দুই পর্বের এমএ কোর্স চালু হয় এবং ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে মাস্টার্সের প্রথম ব্যাচ উত্তীর্ণ হয়।
স্বাধীনতার পর ইংরেজির পাশপাশি এই বিভাগে বাংলা মাধ্যম চালু হয়। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে এক বছরের ডিপ্লোমা বন্ধ করে তিন বছরের অনার্স কোর্স শুরু করা হয়। বিভাগের নাম বদলে রাখা হয় ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ’। উপমহাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষায় এটিই প্রথম অনার্স কোর্স। ১৯৯৭-৯৮ খ্রিষ্টাব্দে চার বছরের অনার্স চালু হয়, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে কলা অনুষদ থেকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে নিয়ে আসা হয় এই বিভাগকে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে থাকে।