একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর নরসিংদীর মনোহরদিতে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক এবং নিউজটুডে ও ফাইন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে এমএ ও ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে এলএলবি পাস করেন। তার একমাত্র ছেলে বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও পলিসি একচেঞ্জ'র চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ কিছু দিন অধ্যাপনা শেষে ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় যোগদানের পূর্বে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ পাকিস্তান অবজারভারের চাকরি ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেন। স্বাধীনতার পর আবার অবজারভারে যোগদান করে নভেম্বর ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কাজ করেন।
রিয়াজউদ্দিন আহমেদ চারবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং দুইবার অবিভক্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রিয়াজউদ্দিন সাউথ-এশিয়া ফ্রি মিডিয়া এসোসিয়েশনের (সাফমা) চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, আরব্য রজনী, পারস্য রজনী উল্লেখযোগ্য।
সাংবাদিকতা এবং জাতীয় জীবনে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের আজকের এই দিনে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।