জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেছেন এক সাংবাদিক। প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, এ ব্যাপারে তাঁদের কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা যায়, তা করবে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ডুজারিক। ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি পড়ে শোনান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে বাংলাদেশ আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। জাতিসংঘের দল দুর্গত এলাকায় আছে। তারা দুর্গত মানুষের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার কিট ও খাবার বিতরণ করছে।
জাতিসংঘ আগেই জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও মৌসুমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রথমবারের মতো মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা গত মাসে চালু করেছে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো। এর লক্ষ্য ১২ লাখ মানুষকে সহায়তা করা। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ মানুষের কাছে তারা সহায়তা পৌঁছাতে পেরেছে।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে আরেক সাংবাদিক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রায় ৫০ লাখ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে হাজারের বেশি হত্যা ও দুর্নীতির মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার আসামিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আছেন। যিনি দেশের বাইরে আছেন। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে আছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। এভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে ভিন্নমতের ব্যক্তিদের দমন করার কৌশলের ব্যবহার নিয়ে জাতিসংঘের কোনো উদ্বেগ আছে কি?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ, যারা রাজনৈতিক ও মানবিক দিক দিয়ে দেশটির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, তারা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা যায়, তা করবে।