দৈনিকশিক্ষাডটকম, সাতক্ষীরা : বই উৎসবে বিতরণের কয়েক ঘণ্টা পরই সাতক্ষীরায় কয়েকটি স্কুল থেকৈ তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইসলাম ধর্মের সব বই ফেরত নিচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। গত ১ জানুয়ারি বই উৎসবের পরপরই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণকৃত ওই পাঠ্যবই ফেরত নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তারা। এরপর থেকে ওই পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের থেকে ফেরত নেয়া শুরু করেন শিক্ষকেরা। তবে কেনো এই পাঠ্যবই ফেরত নেয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ।
গতকাল মঙ্গলবার সাতক্ষীরা শহরের টাউন সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ওই বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের সব বই জমা দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। যারা আসতে বা বই জমা দিতে দেরি করছে তাদেরকে মুঠোফোনে দ্রুত বই জমা দেয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।
বই জমা দিতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা করার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বই বিতরণের পর স্ব স্ব ক্লাসটারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা আমাদেরকে তৃতীয় শ্রেণির বিতরণকৃত ইসলাম ধর্মের সব বই গত মঙ্গলবার ১১টার ভেতরে ফেরত দেয়ার জন্য বলেন। এজন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে থেকে বই ফেরত নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি। অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে না আসলেও আমরা শিক্ষকরা তাদের বাসাতে যেয়ে বই সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছি।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা কাজ করছি। কোনো কিছু জানার থাকলে তাদের কাছে শুনতে পারেন। এ ব্যাপারে আমরা কেউ কোনো কিছু জানি না। একই বক্তব্য অপর দুই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রিন্টিং মিসটেকের কারণে বইগুলো তুলে নেয়া হচ্ছে।
তবে, সাতক্ষীরার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) হোসনে ইসায়মিন করিমী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সাতক্ষীরা জেলার সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্মের সব বই শিক্ষার্থীদের থেকে ফেরত নেয়া হচ্ছে। বইতে কোনো ভুল আছে কী-না সেটা দেখার জন্য বই ফেরত নেয়া হচ্ছে।
শুধুমাত্র তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্মের বই কেনো ফেরত নেয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু বলা সম্ভব না। বিষয়টা আমরা আপনাদের পরে জানাতে পারবো।