ভারতের চাকরি হারাতে যাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক। হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের সুপারিশপত্র বাতিল করে দেয়া হবে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দেশটির স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগপত্র বাতিল করবে তাদের।
এর আগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছিল এসএসসি। সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের নিযুক্ত তালিকা থেকে অযোগ্য ৮০৫ জনের বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেয়া হবে। সে মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল হচ্ছে।
এসএসসি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছেন। অনেকে দুই-বা তিন পেয়েছেন। আপাতত ৬১৮ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে এসএসসি। পর্যায়ক্রমে আরও নাম প্রকাশ করা হবে।
তদন্তের সময় গাজিয়াবাদ থেকে ৯৫২ জনের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল সিবিআই। দেখা গেছে, সেগুলো ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের। এ উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে সার্ভারের ফারাক ধরা পড়ে। কারও কারও নম্বরের ফারাক ৫৩। ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে বিকৃত করা হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কমিশনকে। তিনি প্রশ্ন করেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে কমিশন? বৃহস্পতিবার এসএসসি জানায়, ৮০০ জনের বেশি শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হবে। তারা স্বীকার করে নেয়, দুর্নীতি হয়েছিল। এ সপ্তাহ থেকে সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে তারা।
সুত্র : আনন্দবাজার