ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এতে মানুষের চলার পথে সব বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান রয়েছে। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের ভালোবাসায় সব সময় বিভোর ছিলেন। তাই তো তিনি উম্মতের জন্য সব ধরনের বিষধর প্রাণী থেকে বাঁচার দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।
ইদানীং দেশজুড়ে আতঙ্কের এক নাম হচ্ছে রাসেলস ভাইপার সাপ। এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর এ সাপটি ক্রমেই যেন রাজত্ব গেড়ে বসতে শুরু করেছে দেশব্যাপী। বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে সাপটির খোঁজ মিলছে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর এমনকি ঢাকার আশপাশেও। অস্তিত্ব মিলেছে ২৫ জেলায়। চলতি বছর এ সাপের কামড়ে মারা গেছেন ১০ জন।
রাসেলস ভাইপার দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ছোট ও সরু লেজের সরীসৃপটি দৈর্ঘ্যে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিভুজাকার এবং ঘাড় থেকে আলাদা। শরীরজুড়ে অনেকটা চাঁদের মতো গাঢ় বাদামি গোল গোল দাগ। দৈহিক এ বৈশিষ্ট্যের কারণে শুকনো পাতা বা ধান ক্ষেতের মধ্যে খুব সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে নিজেকে। রাসেলস ভাইপার সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। এ সাপ থেকে বাঁচার জন্যে হাদিসে দোয়া শিখিয়েছেন নবীজি।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহান আল্লাহর প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা এই দোয়া ৩ বার পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে সব প্রাণী, বিশেষ করে সাপ, বিচ্ছু প্রভৃতি বিষাক্ত ও কষ্টদায়ক প্রাণীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। (তিরমিজি: ৩৬০৪)। দোয়াটি হলো:
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ: আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খলাক। অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি।