বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন তারা। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূর এ তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী দে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনোভাবেই সম্প্রতির সম্পর্ক নয়। ভারত যুক্তিসঙ্গত পানি হিস্যা চুক্তি না মেনে আমাদের প্রয়োজনের সময় তিস্তা ও ফারাক্কা বাঁধ থেকে শুরু করে সবগুলো বাঁধের পানি বন্ধ করে দিয়ে ফসলের ক্ষতি করে। আবার অপ্রয়োজনীয় সময়ে পানি ছেঁড়ে দিয়ে বন্যায় ডুবিয়ে আমাদেরকে মারে তারা। আবার তারা সীমন্তে মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে দুইজন শিশুকে হত্যা করেছে বিএসএফ। গত সপ্তাহে স্বর্ণা দাশ এবং আজকে জয়ন্ত কুমার। শেখ হাসিনার সরকার নরেন্দ্র মোদির সরকারকে সর্বদা তেল মর্দন করে এসেছে। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের তো এটি করার কথা নয়।
এই অন্তরর্তী সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি। ছাত্র-জনতা কি সীমন্তে আমাদের ভাই-বোনদের লাশ দেখার জন্য এই সরকারকে রক্ত বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে? যখন এদেশের শিশুদের লাশ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তখন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আসলে কী করেন? মোদির সরকার বাংলাদেশের মানুষকে যে মানুষ মনে করে না সেটি বোঝা আমাদের সকলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
অবিলম্বে বাংলদেশ-ভারতের সমস্ত অসম চুক্তি পূনঃসংস্কার করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় সরকারের সাম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসনবাদ বাংলাদেশের নাগরিকরা মেনে নেবে না। শেখ হাসিনা যে পথে গেছে খুনি মোদিকেও সেই পথে যেতে হবে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ধনতলা সীমান্তের কাটাঁতারের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফর গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৪) নামের এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।সোমবার মধ্য রাতে ভারতের উত্তর দিনাজপুর ইসলামপুর থানার ডিংগাপাড়া ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।