নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে ভারতে পাচারকালে ৬টি স্বর্ণের বারসহ কিবরিয়া (৩৮) নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার দুপুরে পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন। আটক কিবরিয়া ধামইরহাট উপজেলার চকবদল গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।
অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তে আটক কিবরিয়া দীর্ঘদিন যাবত মাদক চোরাকারবারিতে জড়িত। এর আগে থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলাও রয়েছে। সম্প্রতি সে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন বলে তথ্য বিজিবির হাতে আসে। এরপর থেকে গত বেশ কিছুদিন ধরে তার চলাফেরা মনিটরিং করছিলো বিজিবি।
বিজিবির পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের স্পেশাল অপারেশন টিম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সীমান্ত লাগুয়া চকিলাম গ্রাম থেকে তাকে আটক করে। এরপর তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ৭০০ গ্রাম ওজনের ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মুল্য ৫৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
বিজিবি অধিনায়ক আরো বলেন, সোনা চোরাকারবারি সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি-না তা বিজিবি মনিটরিং করছে। আটকের পর কিবরিয়াকে ধামইরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারগুলো নওগাঁ ট্রেজারি অফিসে হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে ধামইরহাট সীমান্তের পৃথক স্থানে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে পাচারকালে ভারতীয় কসমেটিকস ও শিশু খাদ্য উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা। বিজিবি জানায়, চোরাকারবারিরা ভারত থেকে পণ্যগুলো বাংলাদেশ অবৈধভাবে নিয়ে আসছিলেন। এসময় বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে পণ্যগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো উদ্ধার করে।