জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি জানিয়েছে, সুন্দরবনের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য আরও গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের ৪৫তম বর্ধিত সভার এক অধিবেশনে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি সুন্দরবনের প্রতিরক্ষা উন্নয়ন ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে যৌথ বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র রিঅ্যাকটিভ মনিটরিং মিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। এ ক্ষেত্রে মূল অর্জনের মধ্যে রয়েছে কৌশলগত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সেম্প), ডলফিন সংরক্ষণ পরিকল্পনা, দুর্ঘটনাজনিত কারণে তেল জাতীয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণের জাতীয় কৌশলনীতি প্রণয়ন। এগুলো বনের অনন্য জীববৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য রক্ষায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি বলছে, আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উন্নয়ন থেকে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ ও ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রতিরোধের জন্য এবং ভবিষ্যতে সুন্দরবনের ভূমি ও সামুদ্রিক ব্যবস্থার বাস্তুসংস্থান উন্নয়নে যাতে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত না করে তা নিশ্চিত করার জন্য কৌশলগত পরিবেশ মূল্যায়নের (সেম্প) অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং ২০২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি স্টেট অব কনজারভেশন রিপোর্ট জমা দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে ইউনেস্কো।