একাদশ শ্রেণিতে পাঠদান শুরু হলেও সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি। এর মধ্যে পছন্দের কলেজ পায়নি সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থী। এদিকে তিন দফা আবেদন করেও পছন্দের কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া দুই হাজার আট শতাধিক শিক্ষার্থী। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি দেয়া আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চতুর্থ ধাপে অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। শিক্ষার্থীরা ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবে। ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় চতুর্থ ধাপে আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ‘সিলেকশন নিশ্চায়ন’ ও কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে। অনলাইন ছাড়া ম্যানুয়ালি একাদশে ভর্তি করা হবে না বলে শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, কলেজ ভর্তির আবেদনের ওয়েবসাইটে (http://xiclassadmission.gov.bd/) দেয়া পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজের আসন সংখ্যা দেখে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে আবেদন করতে হবে।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি বলে আন্তঃশিক্ষা সূত্র জানিয়েছে। আর নির্বাচন পেয়েও ভর্তি নিশ্চায়ন করেনি ৮২ হাজার ৬১৮ জন।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল বলেন, ভর্তির আবেদন করেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত ভর্তি হয়নি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৮২ হাজারের মতো। তারা চান্স পেয়েও ভর্তি হয়নি কিংবা ভর্তির জন্য সিলেশন পাননি। সিলেশন না পাওয়া এবং জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফলাফলের তুলনায় বড় কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করেছিলো। এজন্য হয়নি। এসব শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তির শেষ সুযোগ চতুর্থ ধাপ। এই সময়ে ভর্তি হতেই হবে।
আবেদন না করা চার লাখ শিক্ষার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা ও বিএম কোর্সে ভর্তি হয়েছে। তাদের তথ্য কারিগরি বোর্ড বলতে পারবে।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর এবারের এসএসসি, মাদ্রাসার দাখিল ও কারিগরির এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। আর মাদরাসার দাখিল পরীক্ষায় মোট দুই লাখ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এক লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন পাস করেছে।