ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পাঁচকাহুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুস্থ ছয় শিক্ষার্থীকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জানেই না তারা প্রতিবন্ধী। এমনকি ওই শিক্ষার্থীদের টাকাও প্রদান করা হয়নি।
জানা গেছে, পারফম্যান্স বেজড গ্রাউন্ডস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন (পিবিজিএসআই) স্কিমের আওতায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান হিসাবে ৫ লাখ টাকা পায় প্রতিষ্ঠানটি। এই টাকার শতকরা ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও ১৫ শতাংশ সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রদান করার কথা। জুলাই মাসের ৭ তারিখে বিদ্যালয়টির প্যাডে প্রধান শিক্ষক হাসেম আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজল বরন সরকার স্বাক্ষরিত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়। সেই তালিকায় স্থান পাওয়া ৬ সুস্থ শিক্ষার্থীকে প্রতিবন্ধী বানানো হয়েছে। তালিকায় এক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার ও বাকি পাঁচ শিক্ষার্থীকে ৮ হাজার টাকা দেখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রতিবন্ধীর তালিকায় স্থান পাওয়া ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিমা খাতুন জানায়, সে সম্পূর্ণ সুস্থ। শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। স্কুল থেকে তাকে প্রতিবন্ধী বানানো ও ৮ হাজার টাকা পাওয়ার কথা জানেই না। এছাড়াও প্রতিবন্ধীর তালিকায় স্থান পাওয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণির আব্দুল্লাহ, ৭ম শ্রেণির তানভির ও ৯ম শ্রেণির হাসিব স্কুল থেকে কোনো টাকা পায়নি বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে। তবে তাদের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হাসেম আলী জানান, টাকা সংরক্ষিত আছে। এমপি সাহেবের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রদান করা হবে এজন্য দেরি হচ্ছে। সুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধী বানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, তারা কেউ সরকার স্বীকৃত প্রতিবন্ধী না। কিন্তু শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা আছে।
বিদ্যালয়টির সভাপতি কাজল বরন সরকার জানান, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আমি জানি না। এ তালিকা স্যারেরা করেছেন। আর অর্থ বিতরণ না করার ঘটনাটি সত্য।
কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।