খণ্ডকালীন শিক্ষক পদে একজন চেয়ারম্যানকে কর্মরত রেখেছিলেন তিনি। অতিরিক্ত শ্রেণি-শাখা খোলার আগেই শিক্ষক নিয়োগ, সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেও করণিক পদের এমপিও গ্রহণ, কমিটির রেজুলেশনে নিজের নাম পৃথকভাবে সংযোজন করেছিলেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছিলো। অবশেষে এমপিও বাতিল হলো তার। বলছিলাম, চাঁদপুরের ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হান্নান মিজির কথা। এমপিও বাতিল করে তার নাম এমপিও সিট থেকেও বাদ দেয়া হয়েছে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তার এমপিও বাতিলের বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়েছে।
উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হান্নান মিজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী তার এমপিও বাতিলপূর্বক এমপিও সিট থেকে নাম কর্তন করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল এমপিও বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হান্নান মিজি বিরুদ্ধে ওঠা সহকারী শিক্ষক হিসেকে যোগদান করেও আগের পদের অর্থাৎ করণিক পদে এমপিও গ্রহণ করার অভিযোগ, অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার খোলার অনুমতি পাওয়ার আগে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ, ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনে মো. হান্নান মিজি নামটি পৃথকভাবে সংযোজনের অভিযোগ ও মো. রফিক উল্লাহ পাটোয়ারী নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়্যারম্যান হওয়া সত্ত্বেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে তাকে কর্মরত রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে তার দাখিল করা জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী তার এমপিও বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হান্নান মিজির সঙ্গে। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, আমি কোনো খারাপ কাজ করিনি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সব মিথ্যা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।