রাজধানীর গ্রিন রোডে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রথমে নবজাতক ও পরে মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় চিকিৎসক ডা. মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে জামিন দেয়নি উচ্চ আদালত। তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ডা. মিলির করা আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গত ২৬ জুলাই জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৫ জুলাই (বুধবার) আদেশের জন্য ধার্য রেখেছিল আদালত।
আদালতে ডা. মিলির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনি (ডা. মিলি) দাবি করেছেন যে, অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু আমরা তথ্য প্রমাণ দিয়ে তার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, এই সময়ের মধ্যে তাকে কোনো প্রকার হয়রানি না করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হন ইডেন কলেজের ছাত্রী মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু এ সময় ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ছিলেন না। তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১০ জুন নবজাতক মারা যায়।
এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে অভিযুক্ত একটি মামলা করেন। এ মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহা কারাগারে রয়েছেন। গত ১৮ জুন দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আঁখি।