নীলফামারীর জলঢাকায় স্কাউটস্’র ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ে শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের চাপে অধিকাংশ শিক্ষকরা চাঁদার টাকা জমা দিলেও এখনও অনেকেই টাকা জমা দেয়নি।
জানা গেছে, আগামী বুধবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ স্কাউটস জলঢাকা উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে গত ৬ আগস্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফা আখতার স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতি ৫০০ টাকা এবং ইউনিট লিডার প্রতি ৫০০ টাকা করে স্ব-স্ব ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
শিক্ষকরা বলছেন, উপজেলায় মোট ২৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং একই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক ইউনিট লিডার রয়েছেন। বিদ্যালয় প্রতি ১ হাজার টাকা আদায় করা হলে নাস্তা বাবদ চাঁদা আদায় হবে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। শিক্ষকদের অভিযোগ স্কাউটস্’র নির্বাচনে ভোট করছেন যারা তারাই এ খরচ বহন করবে আমরা কেনো এ ব্যয় বহন করবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যেসব শিক্ষক ভোটে অংশগ্রহণ করছেন তারা কাউন্সিলের ব্যয় বহন করবেন, আমরা সাধারণ শিক্ষকরা চাঁদা দেবো কেনো? সেজন্য আমরা এখন পর্যন্ত টাকা দেইনি, তবে অফিসারদের চাপের কারণে অনেক শিক্ষক টাকা দিয়েছে।
শিক্ষকরা আরো বলেন, গত ২৯ জুলাই পাশ্ববর্তী ডিমলা উপজেলায় স্কাউটস্’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল উপলক্ষে শিক্ষকদের কাছ থেকে কোনো চাঁদা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষকদের দাবি জলঢাকা উপজেলায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে এ নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে স্কাউটস্ কাউন্সিলের নাস্তা বাবদ তোলা হবে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এ টাকা কি নাস্তা খাওয়ানো হবে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আখতার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘গত ৬ আগস্টের নোটিশটি ভুলবশত হয়ে গেছে। ওই চিঠিটি সংশোধন করছি। যারা টাকা দেবে না তাদের চাপ দেয়া হবে না’।