ফরিদপুরের দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে মারপিটের পর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। ওই স্কুলছাত্রটির পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্র এখন লোকলজ্জায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।
রোববার(১০ নভেম্বর) দুপুরে মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় বিচার দাবিতে গত শনিবার দুপুরে মধুখালী বাজার এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। ওই স্কুলছাত্রটির পরিবারের দাবি, থানা থেকে তাদের অভিযোগ নেয়া হচ্ছে না।
মধুখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাড়াখোলা এলাকার ফিরোজ খান জানান, দুই যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে ওই স্কুলছাত্রকে গত ৩ নভেম্বর স্কুলের পরীক্ষা শেষে তুলে নেয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে মারপিট করে এবং বিকৃত যৌনাচারের ভিডিও করে। এরপর মোটা অঙ্কের অর্থ না দিলে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। অর্থ না দেয়ায় সেই ভিডিও সহপাঠী ও পরিচিত কয়েকজনের মোবাইলে ছড়িয়ে দেয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
এ বিষয়ে মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন বলেন, থানা থেকে বিষয়টি দেখার জন্য আমার ওপর দায়িত্ব দেয়। আমি দু’পক্ষকে ডাকলে একপক্ষ আসে। অপরপক্ষ না আসায় আমি এ ঘটনার কোনো সমাধান করতে পারিনি। স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা আমাকে বলেছিল যে বিষয়টি আমরা পরে বসে দেখবো। আর যেহেতু বিষয়টি স্কুল কম্পাউন্ডে না। তাই আমি তেমন কিছু করতে পারবো কি না, তা বলতে পারছি না।[inside-ad_1]
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম নুরুজ্জামান বলেন, গত ৩ নভেম্বর ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানার পর ওই বিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। আমি ফুটেজটি দেখেছি। বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক, তাই আমিও ধিক্কার জানাই। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখবে বলেছে। তাই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।