হবিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থী মদিনাতুল কিবরিয়া জেরিন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাস এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর স্টেনোগ্রাফার পার্থ প্রতীম সেন। তিনি বলেন, মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাসেম মোল্লা মাছুম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি সকাল ৮টায় নূর আলমের অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। পথে ওই অটোরিকশায় ওঠে জাকির। জেরিনের স্কুল পেরিয়ে গেলেও তাকে নামিয়ে না দিয়ে অটোরিকশা জোরে চালানো শুরু করে নূর আলম। সেসময় জোর করে অটোরিকশা থেকে নামার চেষ্টা করলে জেরিনের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় তাদের।
এক পর্যায়ে অটোরিকশা থেকে লাফ দেয় জেরিন। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায় সে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ১৯ জানুয়ারি সকালে মারা যায় জেরিন।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জেরিনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার হলে অটোরিকশা চালকের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে এলাকাবাসী ও জেরিনের সহপাঠীরা। ২০ জানুয়ারি রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন জেরিনের বাবা। ২১ জানুয়ারি জাকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন জাকির। গ্রেফতার করা হয় নূর আলমকে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।