বাগেরহাটের ফকিরহাটে কায়েম আলী ওরফে কাইয়ুম (৪৮) নামে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসার জন্য ওই ছাত্রী কবিরাজ কাইয়ুমের বাড়িতে গেলে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করেন তিনি।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের চরভৈরব গ্রামে কথিত কবিরাজ কাইয়ুমের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। এরপর এ ঘটনা কাউকে জানালে বড় ক্ষতি হবে বলে ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছে ভিকটিমের পরিবার। এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পরে কথিত ওই কবিরাজ গা ঢাকা দিয়েছেন।
এক সহপাঠি জানিয়েছে, হাতের আঁচিল তুলতে গত ২৯ মে দুপুরের পর এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ কায়েম আলীর বাড়িতে গিয়েছিল ভিকটিম। সেখানে ওই কথিত কবিরাজ আঁচিল ওঠানোর চিকিৎসার সময় রোগীর সঙ্গে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে, বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। পরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয় এবং কিছু একটা দিয়ে তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করে। পরে জ্ঞান ফিরলে ভিকটিমকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেন ওই ভণ্ড কবিরাজ।
জানা গেছে, ওই কিশোরী বাবা-মায়ের সঙ্গে ফকিরহাট উপজেলার একটি গ্রামে বাড়িতে ভাড়া থাকে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার জানিয়েছে, তারা এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা না এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় ভয়ে বিষয়টি প্রথমে কাউকে জানায়নি।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তারা ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আসামি ওই কথিত কবিরাজকে আটকের চেষ্টা চলছে।