দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : সরকারি অনুদানে বিদ্যালয়ের মধ্যেই তৈরি হয়েছে ‘কিচেন গার্ডেন’। অর্থাৎ মিড-ডে মিলে আনাজের জোগানের জন্য বিদ্যালয়ে বাগান করে আনাজ ফলানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের তিনটি বিদ্যালয়ে দেখা গেল এই চিত্র। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা মিলে যত্ন সহকারে বিভিন্ন আনাজ ফলিয়েছেন যা দিয়ে তৈরি মিড-ডে মিল খেয়ে খুশি পড়ুয়ারা।
জামালপুরের চৌবেরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেওরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝাপানডাঙা সাবিত্রী দেবীবালিকা বিদ্যালয়ে ‘কিচেন গার্ডেনে’র টাটকা আনাজ দিয়েই মিড-ডে মিল রাঁধা হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সাবিত্রী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ে আনাজ বাগানের সঙ্গে রয়েছে কাঁঠাল গাছও। এঁচড় ও কাঁঠালও বাচ্চাদের পরিবেশন করা হয়। বাকি দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফলানো হয়েছে বিভিন্ন শাক।
চৌবেরিয়া প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু সেনশর্মা বলেন, নিজেরাই বাগানের দেখাশোনা করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা সতেজ আনাজ পায়। কোনও কীটনাশক দেওয়া হয় না।
রেওড়া প্রাথমিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুদীপ্তকুমার ঘোষ বলেন, বাচ্চাদের বাগান তৈরির উপর একটা ঝোঁকও তৈরি হচ্ছে যা তাদের ভবিষ্যতে কাজে দেবে। আর নিজেদের বাগানের আনাজ রান্না করলে খরচও কিছুটা কমে।
তিনি আরও জানান, খরচ কিছু কমলে কোনও কোনও দিন ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ পুষ্টির জন্য অন্য খাবারও দেওয়া যায়। যেমন ক’দিন আগেই তাঁরা বাচ্চাদের আখের রস খাইয়েছেন।
সাবিত্রী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়তী আইচ মিত্র বলেন, বিদ্যালয়ে বসানো কাঁঠাল গাছে এঁচড় ধরেছে। তাই ছাত্রীদের এঁচড় চিংড়ি খাওয়ানো হচ্ছে।
তাঁর দাবি, প্রতিদিন নতুন খাবারের পদ হওয়ায় খুবই মজা করে খাচ্ছে পড়ুয়ারা।
বিডিও পার্থসারথি দে বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়কেই ‘কিচেনগার্ডেন’ করা নিয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য সরকারি অনুদানও পাওয়া যায়।
জামালপুর ব্লকের দুই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রাজেন্দ্রপ্রসাদ মাজি ও অনিন্দিতা সাহা এই তিনটি বিদ্যালয়ের কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সূত্র: আনন্দবাজার