কারও অনুমতি বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের লোহার অ্যাঙ্গেল, টিন ও জানালা নিয়ে গিয়ে নিজ বাড়ির জানালা ও গেট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ১৬টি লোহার জানালা, ছোট-বড় ৯০টি লোহার অ্যাঙ্গেল ও ৪৬টি টিন নিজ বাড়িতে নিয়ে যান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক। বিদ্যালয়ের জিনিসপত্র বিদ্যালয়ে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে তাকে একাধিকবার জানালেও ফেতর না দেওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা সেগুলো ফেরত চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির (অ্যাডহক) কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ১৬টি লোহার জানালা, ছোট-বড় ৯০টি লোহার অ্যাঙ্গেল ও ৪৬টি টিন কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়ে যায়। পরে আমরা জানতে পেরে সেগুলো ফেরত চাইলে অস্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, অবশেষে আমরা নিরুপায় হয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি।
জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছি। লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে বাড়ির গেট আর জানালাগুলো ঘরের কাজে লাগিয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ বলেন, আমার অফিসে জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।