নেত্রকোণার দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অবৈধভাবে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে ওই বিদ্যালয়ে ৩০০ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় ও দুর্গাপুর সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন দিলেও দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুসং সরকারি কলেজে ১০-১২টি কক্ষ খালি পড়ে রয়েছে। সেখানে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলে অতিরিক্ত কেন্দ্রের প্রয়োজন হতো না।
তবে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র করার বিষয়ে রেজ্যুলেশন আছে তাই এটা অবৈধ নয় বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিণয় ভূষণ সাহা রায়। এদিকে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন রাজিব উল আহসান, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র করার কোনো রেজ্যুলেশন করা হয়নি। এটি একটি ‘ইনোসেন্ট মিসটেক’।
জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় সুসং সরকারি কলেজ, দুর্গাপুর মহিলা কলেজ, ডন বস্কো কলেজ ও মাফিজ উদ্দিন মহাবিদ্যালয় এ চারটি কলেজ রয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় হাজারের মতো। পরীক্ষার অনুমোদিত কেন্দ্র দুটি হলো, সুসং সরকারি কলেজ ও দুর্গাপুর মহিলা কলেজ। সুসং সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে দুর্গাপুর মহিলা কলেজ ও ডন বস্কো কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে সুসং সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আইনুল হক বলেন, আমাদের কলেজে অসংখ্য কক্ষ খালি পড়ে আছে। সেগুলোকে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করলে বালিকা বিদ্যালয়ে কেন্দ্র করার প্রয়োজন হতো।
এইচএসসি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব উল আহসান গত শনিবার বলেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য কোনো রেজ্যুলেশন করা হয়নি। এটি একটি ভুল ‘ইনোসেন্ট ভুল’।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর বলেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে কি না আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কোনো রেজ্যুলেশন আমার কাছে পৌঁছেনি।