নীলফামারী ডোমারের বড় রাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী পদের নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করা করা হয়েছে। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নিজেকে স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন নৈশ প্রহরী দাবি করে এক ব্যক্তি স্কুলে অবস্থান নিয়ে তাকে বা তার ছেলেকে নিয়োগের দাবি জানালে নিয়োগ বোর্ডের কর্তারা পরীক্ষা স্থগিত করেন।
বুধবার ওই প্রতিষ্ঠানে নৈশপ্রহরী ও পরীচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষার হওয়ার কথা ছিলে। ২টি পদের জন নিয়োগে ৯ জন করে মোট ১৮জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। এদের মধ্যে ১৬জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত হন।
সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিদ্যালয়ে নাইটগার্ড পদে কর্মরত থাকার দাবি করে জাহেদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি দুপুরে নিয়োগের দাবিতে বিদ্যালয়ে অবস্থান নেন। এসময় তিনি নিয়োগ না দিলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন। তিনি বলেন, আমাকে কোন কারণে নিয়োগ দেয়া না হলে এর পরিবর্তে নৈশ প্রহরী আমার ছেলে হানিফ ইসলামকে নিয়োগ দেয়ার আবেদন করছি।
পরবর্তীতে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের মনোনীত ডিজি প্রতিনিধি ও ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহানা বিলকিছ বানু ও ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরীনা বেগম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডোমার পৌর মেয়র মঞ্জুরুল ইসলাম দানু এবং প্রথান শিক্ষক দিনেশ চন্দ্রসহ নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা তার কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন এবং পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন।
অভিযোগ আছে, প্রধান শিক্ষক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যদের বাদ দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিযোগ দেয়ার পায়তারা করছেন।
জানতে চাইলে ডোমার রাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিনেশ চন্দ্র রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে আবেদনকারীদের তথ্য চাযাই বাছাই শেষে ২টি পদে ৯ জন করে ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। আবেদনকারী প্রার্থীদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে প্রবেশ পত্র বিতরণ করা হয়।
অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, কে বা কারা বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।
জানতে চাইলে ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২৮ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানে দুইটি কর্মচারী পদে জনবল নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার জন্য এসে দেখি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্লাকার্ডে বিভিন্ন লেখা দিয়ে জাহেদুল ইসলাম নামে একজন নিয়োগ বন্ধের দাবি তুলে ধরেছেন। পরীক্ষার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা যায় তার নামে কোনো আবেদন নেই। তিনি নিয়োগের জন্য যে দাবি তুলেছেন বিধি মোতাবেক তা গ্রহণযোগ্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।