যশোরের অভয়নগর উপজেলার আন্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ড. প্রদীপ দের বিরুদ্ধে কর্মচারাী নিয়োগে টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলে ম্যানেজিং কমিটির ৭ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। স্ব স্ব কারণ দেখিয়ে তারা গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা। এদিকে সভাপতি ড. প্রদীপ দে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ স্বীকার করে দাবি করেছেন, স্কুল সংস্কারে টাকা নেয়া হয়েছে।
পদত্যাগ করা সদস্যরা হলেন, দাতা সদস্য নকুল চন্দ্র রায়, অভিভাবক সদস্য অনুপম রায়, শহিদুল ইসলাম, হিমাংশু বিশ্বাস, মহিলা সদস্য কবিতা রায়, শিক্ষক প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন হালদার ও চন্দন বিশ্বাস।
জানতে চাইলে সদ্য পদত্যাগ করা অভিভাবক সদস্য অনুপম রায় জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. প্রদীপ দে তাদের মতামত না নিয়ে স্কুল সংস্কারের কথা বলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেণির ৩ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। যে নিয়োগের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। আর টাকা নিলেও সেই টাকা তিনি স্কুলের তহবিলে জমা দেননি। যে কারণে সভাপতির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তারা পদত্যাগপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
জানতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. প্রদীপ দে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রায় ৬ মাস আগে ম্যানেজিং কমিটির মতামতের ভিত্তিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়ার পর তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা স্কুলের ভবন সংস্কারের জন্য নেয়া হয়েছে। পদত্যাগপত্র জমাদানকারীদের মধ্যে দাতা সদস্য নকুল চন্দ্র রায়, অভিভাবক সদস্য অনুপম রায়, হিমাংশু বিশ্বাস ও শিক্ষক প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন হালদার তাদের মনোনিত প্রার্থীকে নিয়োগ না দেয়ায় তারা এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তারা মিথ্যা নিয়ে খেলছে, আশা করি সত্যের জয় হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, জেলা থেকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।