নওগাঁর মহাদেবপুরের রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচ পদে কর্মচারী নিয়োগে ৬০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী, নৈশ প্রহরী এবং আয়া পদে নিয়োগ দিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার প্রামানিক পাঁচজন প্রার্থীর কাছ থেকে এ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। অভিযোগটি তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। আগামী সোমবার অভিযোগটি তদন্ত করতে যাবেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ।
জানা গেছে, স্কুলের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
জানতে চাইলে অভিযোগকারী কালীপ্রসাদ কুমার মন্ডল দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে প্রধান শিক্ষকের ভাগিনা সুকান্ত ভৌমিক (সুইট), নৈশপ্রহরী পদে হরেন মণ্ডলের ছেলে মৃদুল মণ্ডল, নিরাপত্তাকর্মী পদে মৃত শ্রীচরণ বৈরাগীর ছেলে অর্জুন কুমার বৈরাগী, অফিস সহায়ক পদে নকুল কুমার পালের ছেলে বিমান কুমার পাল, আয়া পদে রসুলপুর গ্রামে জাকির হোসেনের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার সুমিকে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে আবারও নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার প্রামাণিক দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা। আমি কারো কাছে টাকা নেইনি।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।