একটি স্কুলে কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক নেতার বাবাসহ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার জেরে কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদিদ আহমেদ সৌরভসহ জেলা ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের ওই সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে’ জড়িত থাকার অভিযোগে তুলে তাদের সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্যাডে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২০ আগস্ট কুড়িগ্রামে ঘটে যাওয়া ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার’ পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাময়িক বহিষ্কৃত অপর কর্মীরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান, হাসানুদ্দৌলা প্রান্ত, ইবনে হিমেল এবং মেহেদী হাসান রাব্বু। এছাড়াও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী আব্দুল্লাহ আল মহান, মাহতাব হোসেন রুদ্রকে একই ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল এক নেতা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত ২০ আগস্ট কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক পদধারী নেতার বাবাও ছিলেন। মূলত ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং ছাত্রলীগ নেতার সুপারিশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এ সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সাময়িক বহিষ্কৃতদের স্থায়ীভাবে কেনো বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এরপর সংগঠন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা ছাত্রলীগের এই নেতা আরো বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তারা কেউ পদধারী নন। এজন্য আমরা এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। পরে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।