যশোরের মণিরামপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙে যাতায়াতের জন্য ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন মোহনপুর গ্রামের সাবেক কোরিয়া প্রবাসী আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চু স্থানীয় বাধাঁঘাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে দুইতলা একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। পরিবারটি ওই বাড়িতে যাতায়াতের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ২২ ডিসেম্বর গভীর রাতে স্কুলের প্রাচীর ভেঙে ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরি করেছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় দুজন জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারে এ রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাঁধাঘাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, স্কুলের সীমানা প্রাচীর ও গ্রিল কেটে রাতের আঁধারে উত্তর পাশে ৮ ফুট এবং পূর্ব পাশে ৫ ফুট একটি রাস্তা তৈরি করে নিয়েছে ওই মহলটি।
তিনি আরও বলেন, আমি এবং স্কুঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই জায়গাটি দখল করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের চলাচলে রাস্তা তৈরির জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ার পর মণিরামপুর পৌরসভার মেয়রের দ্বারস্থ হই। তিনি চলাচলের রাস্তা সংস্কারসহ দুটি গেট নির্মাণের জন্য অনুমতি দেয়ার পর স্কুলের প্রাচীর সামান্য ভেঙে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সোহেলী ফেরদৌস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ আমার দপ্তরে এসেছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কবীর হোসেন পলাশ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সীমানা প্রাচীর আগে যে অবস্থায় ছিলো, তেমনিভাবে নির্মাণ করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।