“ক্রীড়া নৈপুণ্যে গড়বো দেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই শ্লোগান নিয়ে ৫১তম জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে বরিশালের বেলস পার্কে বুধবার সকালে সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দুপুরে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানটি বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি আয়োজন করে।
সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সটা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সৃজনশীল সত্বা উদ্ভুদ্ধ করতে যেনো সহায়ক হয়। শিক্ষকদের এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং যারা অংশ নিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর এবিএম রেজাউল করীম।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ড. মো. অলীউল আলম, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ড. মো. নিজামুল করিম, যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মর্জিনা আক্তার, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক স. ম. আব্দুস সামাদ আজাদ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল- মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সম্পাদক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় সাঁতার, কাবাডি, দাবা এই তিনটি ইভেন্টে স্কুল এবং মাদরাসার ২৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। যেখানে ১৩৬ জন করে ছাত্র এবং ছাত্রী রয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সকালে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।