দৈনিকশিক্ষাডটকম, গাইবান্ধা: স্ত্রীকে শিক্ষক বানিয়ে ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে। তবে তার দাবি, কেরানি বা লাইব্রেরিয়ানও এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন।
রুহুল আমীন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মীরগঞ্জের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাজু মিয়াকে ওই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে সবাই চিনলেও রেখা বেগম নামের ওই শিক্ষককে কেউই চেনেন না। রেখা নামের ওই শিক্ষিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী। ক্লাসে পাঠদান করা তো দূরের কথা, একদিনও স্কুলে আসেননি তিনি। গত কয়েক মাসের হাজিরা খাতা ঘেঁটে দেখা যায়, তাতে নেই কোনো সই। উপস্থিত ছিলেন না প্রশিক্ষণের পর নতুন বছরের গত দুই সপ্তাহেও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত রেখা বেগম নামের কোনো শিক্ষককে দেখেননি কেউ। এমনকি নামও শোনেননি তার। প্রশিক্ষণের তালিকায় হঠাৎ ওই শিক্ষকের নাম দেখে হতবাক হয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে রেখা বেগম নামের ওই ‘শিক্ষকের’ সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে গেলে জানা যায়, তিনি পরিবারসহ বিভাগীয় শহর রংপুরে থাকেন।
প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন বলেন, ‘রেখা বেগম আমার স্ত্রী। তাকে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দিয়েছি। তাকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সবাই জানে। এজন্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। লাইব্রেরিয়ান ও কেরানিরাও এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে মীরগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। রেখা বেগম লাইব্রেরিয়ান পদে আছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। তবে বেতন না পাওয়ায় তিনি বিদ্যালয়ে আসেন না।