প্রথমার্ধে রাজত্ব করা মরক্কো দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে হারিয়েছে ছন্দ। তবে আক্রমণ থেমে থাকেনি দলটির।
যদিও নষ্ট করে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুযোগ। এছাড়া দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্পেনের গোলরক্ষকও। অপরদিকে বিরতির পর বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় স্পেন। তবে পায়নি জালের দেখা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে দুই দলের আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। তবে রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়েও কেউ জাল খুঁজে নিতে পারেনি। আসরে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ইয়াসিন বুনো হয়ে ওঠেন মরক্কোর নায়ক। স্পেনের প্রথম পেনাল্টি বারে লেগে গেলেও পরবর্তী দুইটি ঠেকিয়ে দলকে তোলেন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় মরক্কো। কোয়ালিফাই করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।
স্পেনের নজর বল দখলের দিকে থাকলেও ম্যাচে মরক্কো ছিল আক্রমণাত্মক। প্রতিআক্রমণেও স্প্যানিশদের রক্ষণভাগের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছে দলটি। ২৭তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। বাঁ দিক থেকে আসেনসিওকে পাস দেন জর্দি আলবা। বুনোর সাথে বল দেওয়া নেওয়া করে জাল কাঁপান রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড।
৩৩তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নেন মরক্কোর মাজরাউই। সেই শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন। ৪৩তম মিনিটে আবারও সুযোগ পায় আফ্রিকান দলটি। হাকিমির ক্রস থেকে বল পান বউফাল। বক্সে বুসকেতস ঠিকঠাক ঠেকাতে পারেননি। বল পেয়ে মরক্কোর নায়েফ আগুয়ের্ড লক্ষ্যে শট নিতে ব্যর্থ হন।
বিরতির পর গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানালেও মরক্কোর রক্ষণভাগ ভেদ করতে পারেনি তারা। এদিকে প্রতিআক্রমণে মরক্কো ছিল দুর্দান্ত। প্রত্যেকটি কাউন্টারে স্পেনের রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছে দলটি। গোলশূণ্য ফুলটাইম শেষ করে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি।
৯৫তম মিনিটে সুন্দর সুযোগ পায় মরক্কো। উনাই সিমোনকে একা পেয়ে সাবিরি শট করলেও পরে এসে তা ঠেকিয়ে দেন লাপোর্তে। ১০৪তম মিনিটে অল্পের জন্য এগিয়ে যেতে পারেনি আফ্রিকান দেশটি। ওউনাহির ক্রস থেকে বল টেনে নিয়ে শট নেন চেদেরা। সেটি অবশ্য পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন সিমোন। শেষমুহূর্তে দারুণ এক সুযোগ পায় স্পেন। তবে সারাবিয়ার বুলেট গতির সেই ভলি গোলবারে লেগে বাহিরে চলে যায়।
অতিরিক্ত সময়ের পর গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথমেই দারুণ স্পট কিকে জাল খুঁজে নেন মরক্কোর সাবিরি। তবে স্পেনের হয়ে বল জালে ভেড়াতে পারেননি সারাবিয়া। মরক্কোর পরবর্তী শটে সফল হন হাকিম জিয়েখ। এবারও স্পেন জাল খুঁজে নিতে পারেনি; ব্যর্থ হয় সোলার। মরক্কোর হয়ে তিন নম্বরে বিনোনের শট ঠেকান সিমোন। স্পেনের হয়ে বুসকেতসের শটও ব্যর্থ হয়; ঠেকিয়ে দেন বুনো। চারে এসে বল জালে ভিড়িয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তারকা আশ্রাফ হাকিমি।