বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। দেশে ভ্যাকসিন ল্যাব প্রতিষ্ঠায় অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন সেন্টারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
গ্রাম থেকে শহর, সবখানেই স্বাস্থ্য সেবা সহজিকরণ করা বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গ্রহণ করা হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। উন্নত বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এটিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এখন। আর এজন্য প্রয়োজন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে দেশটিতে সফর করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
হাউস অব লর্ডসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই দুই দেশের স্বাস্থ্য খাতের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের আধুনিকায়ন, ডিজিটালাইজেশন, বাংলাদেশি তরুণ ডাক্তারদের দক্ষতা উন্নয়ন, ওভারসিজ ডক্টরস ট্রেনিং স্কিমের পুনঃপ্রবর্তনের ওপর গুরুতারোপ করেন।
এর আগে সফরের অংশ হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেন তিনি। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ল্যাব প্রতিষ্ঠায় অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন সেন্টারের সহযোগিতা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন,
দেশের সমস্ত হেলথ সেক্টরকে আমাদের সহায়তা করতে হবে। ডাক্তারদের সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবো বলে বিশ্বাস। আমাদের ভ্যাকসিন প্লান বানানোর জন্য যতটুকু রিসার্চের সহায়তা দরকার বিশেষ করে আমাদের দেশের অনেক ছেলে-মেয়ে অক্সফোর্ডে রিসার্চে কাজ করছে তারাও আমাদের সহায়তা করবে বলে আশা করি।
বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস এবং বিভিন্ন ব্রিটিশ রয়্যাল কলেজের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে বিকেলে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাউজ অব কমন্সে ব্রিটেনের হেলথ ও সেকন্ডারী কেয়ার মন্ত্রী এন্ড্রু স্টিফেনসন এবং শ্যাডো হেলথ সেক্রেটারি ওয়েস স্ট্রিটিং এমপির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।