একটি বিষয় নিশ্চিত যে দেশের সমাজব্যবস্থা যতো প্রযুক্তিনির্ভর হবে, ততোই কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাড়তে থাকবে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কমতে থাকবে। সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত মানবসম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আসলে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব আগেও ছিলো। কিন্তু আমাদের দেশে এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ যেমন পায়নি, তেমনি এর গ্রহণযোগ্যতা বা জনপ্রিয়তাও সেভাবে নেই। এমনকি কারিগরি শিক্ষার অর্থ, সংজ্ঞা, পরিধি বা ব্যাপ্তি খুবই সীমিত করে রাখা হয়েছে। এমন অনেক কাজ আছে যা সত্যিকার অর্থে কারিগরি শিক্ষার আওতায় পড়ে, অথচ আজও এসব বিষয়কে কারিগরি শিক্ষার স্বীকৃতি দেয়া হয়নি এবং কারিগরি শিক্ষার অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি। উদাহরণ হিসেবে রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি এবং প্লাম্বার বা বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এমনকি কলকারখানায় কাজ, ওয়েল্ডিং কাজ, সেলুন বা হেয়ার ড্রেসারের মতো কাজও তখন কারিগরি শিক্ষার আওতায় চলে আসে। অর্থাৎ সব প্রকার হাতের কাজ, যেখানে কারিগরি জ্ঞানের চেয়ে বিশেষ দক্ষতা বেশি প্রয়োজন, তার সবকিছুই কারিগরি শিক্ষার পর্যায় পড়বে।
কারিগরি শিক্ষা এমন একটি শিক্ষাব্যাবস্থা যেখানে তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে হাতেকলমে শেখার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কেনোনা এই শিক্ষা গ্রহণ করে যারা কর্মজীবন শুরু করেন তাদেরকে প্রথম দিন থেকেই বাস্তবে কাজ শুরু করে দিতে হয়। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মীর কাজের ধরনও আবার রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড বা ফলাফলভিত্তিক। এর অর্থ হচ্ছে তারা যে কাজ করবে তা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয়তা মেটাবে। ধরা যাক একজন কাঠমিস্ত্রিকে ঘরের দরজা লাগানোর দায়িত্ব দেয়া হলো। সেই কাঠমিস্ত্রির কাজ শেষে দরজাটি ঠিকমত কাজ করতে হবে। এই কাজটি তখনই সম্ভব যখন তিনি হাতেকলমে দরজা লাগানোর কাজ শিখে আসবে। একজন ব্যাক্তি দরজা কীভাবে লাগাতে হয় তার ওপর লেখা পাঁচটি বই মুখস্থ করে আসলেও সেই দরজা লাগানোর কাজটি ঠিকভাবে করতে পারবেন না।
আমাদের দেশের অনেক কাঠমিস্ত্রি যে মানের আসবাবপত্র তৈরি করেন তা আধুনিক মেশিন বা যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন আসবাবপত্র কারখানায় তৈরি করা সম্ভব নয়। অথচ সেই কাঠমিস্ত্রির কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে তার পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েছে। মূলত প্রথমে তাদের পিতাকে কাজ করতে দেখে এই কাজে প্রাথমিক হাতেখড়ি হয়েছে। তারপর তারা তাদের পিতার কাজে সাহায্য করতে যেয়ে হাতেকলমে কিছুটা শিখেই এই কাজ শুরু করে দিয়েছেন এবং বাকি দক্ষতা তারা কাজ করতে করতে রপ্ত করেছেন।
আমার নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে সকলেরই বুঝতে অনেক সহজ হবে যে আমাদের দেশের কারিগরি বা টেকনিক্যাল কাজের মান কতো উন্নত এবং এর গুরুত্বই বা কতো বেশি। একবার আমার নিজ জেলা সিরাজগঞ্জের গ্রামের মন্দিরে মঠ আকৃতির একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রয়োজন হয়। আমি সিরাজগঞ্জের কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে ড্রয়িংসহ একটি প্ল্যানও তৈরি করে নিলাম। পরে দেখলাম যে তিনি প্ল্যান অনুযায়ী এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে গেলে সেটি এক বিশাল কর্মযজ্ঞে পরিণত হবে এবং সেজন্য বিশাল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে যা আমাদের ধারণার বাহিরে। পরবর্তীতে বিষয়টি কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করতেই তারা সেখানকার খলিল নামে স্থানীয় এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে যোগাযোগ করে দিলেন।
আমি যখন সেই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথা বললাম তখন তিনি আমার পরিকল্পনার কথা শুনেই আমাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, আমি যে ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে চাই সেরকম একটি ছবি তাকে দেখালে তিনি করে দিতে পারবেন। সেই রাজমিস্ত্রি যদিও সাবলীলভাবে যথেষ্ট আস্থার সঙ্গে আমাকে কথাগুলো বলেছিলো, তারপরও আমি তার কথায় আস্থা রাখতে পারছিলাম না। কেনোনা এই মাপের কাজের কোনোরকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তার নেই এবং নেই কোনো সনদ। এমনকি তার প্রাথমিক বিদ্যাল্যের শিক্ষাও নেই। তাহলে সে এই মাপের কাজ করবে কীভাবে। পরে অবশ্য সিরাজগঞ্জ শহরে খলিল রাজমিস্তির নির্মাণ করা মন্দিরের কয়েকটি স্থাপনা দেখে কিছুটা আস্থা রাখতে পারলাম। তখন আমার মেয়ে ইন্টারনেট থেকে কয়েকটি ছবি পাঠালে আমার তিনটি ছবি খুব পছন্দ হয়। কিন্ত সমস্যা হচ্ছে তিনটি ছবির প্রতিটা মঠই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রচুর কারুকাজ করে নির্মিত।
যাহোক এই তিনটি ছবিই খলিল মিস্ত্রিকে দেখানোর পর তিনি দুটো ছবির মতো কাজ করে দিতে পারবেন বলে রাজি হয়ে গেলেন এবং এর মধ্যে একটি ছবি আমাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিলো। এই কাজটি করতে রাজি হওয়ায় আমাদের সংশয় আরো বেড়ে গেলো। কেনোনা প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এতো সূক্ষ্ম কাজ তিনি ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করবেন কীভাবে। অবশেষে ভেবে দেখলাম সে যদি ছবিতে প্রদর্শিত মঠের পঞ্চাশ শতাংশ মান বজায় রেখে আমাদের প্রত্যাশিত স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করতে পারে তাহলেও যথেষ্ট হবে। এই বিবেচনা থেকেই কিছুটা সংশয় নিয়েই খলিল মিস্ত্রিকে সেই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দায়িত্ব দিয়ে আমি কানাডা চলে আসি। খলিল মিস্ত্রি নিজ দায়িত্বে নির্ধারিত দিনে কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে। আমি তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম এবং সে সেই দায়িত্ব নিয়েই কাজটি সম্পন্ন করেছে। আমি সুদূর কানাডার টরণ্টো থেকে টেলিফোনে কিছুটা খোঁজখবর রেখেছি মাত্র। আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণের পর যা দেখলাম তাতে বিষয়টি এমন যে খলিল মিস্ত্রি যে ছবিতে প্রদর্শিত মঠের সঙ্গে শতভাগ মিল রেখে আমাদের স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করতে পেরেছে এমন দাবি হয়তো করা যাবে না। তবে তিনি যে নব্বই শতাংশ মিল রেখে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করতে পেরেছেন নিশ্চিত করেই বলা যায় এবং যারা সেটি দেখেছেন তারা সবাই একবাক্যে প্রশংসা করেছেন।
দেশ যেভাবে প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে চলেছে, বিশেষ করে আগামীতে যখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলবে, তখন দেশে কারিগরি বা টেকনিক্যাল পেশার কাজও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠবে। স্মার্ট বাংলাদেশে এই কারিগরি বা টেকনিক্যাল কাজের চাহিদা যেমন একদিকে বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে তেমনি এসব কাজে ব্যাপক প্রযুক্তির প্রয়োগ হবে। তখন আর শুধু নিজে নিজে শিখে বা উত্তরাধিকারসূত্রে অর্জিত দক্ষতা দিয়ে এই কারিগরি বা টেকনিক্যাল পেশার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। ফলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পর এই খাতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। তখন এই পেশায় কাজে পারদর্শী কর্মীর সংকট তৈরি হবে। উন্নত বিশ্ব অনেক পদক্ষেপ গ্রহণের পরও পর্যাপ্ত সংখ্যাক কারিগরি কাজে পারদর্শী জনশক্তি তৈরি করতে পারছে না। ফলে আমেরিকা কানাডাসহ অনেক উন্নত দেশকে কারিগরি পেশায় দক্ষ জনশক্তিকে অভিবাসন দিয়ে নিয়ে আসতে হয়। এসব উন্নত দেশের সেই সক্ষমতা আছে তাই তারা সেটি করতে পারে। কিন্তু আমাদের পক্ষে তেমনটা সম্ভব হবে না। এ কারণেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখে আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার পরিধি, ব্যাপ্তি, সুযোগ-সুবিধা। সবকিছুই বৃদ্ধি করতে হবে। এ উদ্দেশে যে কাজগুলো করা অপরিহার্য তা নিম্নরূপ হতে পারে।
কারিগরি শিক্ষার সংজ্ঞা পরিষ্কার করে নির্ধারণ করতে হবে। যে সকল কাজে খুব বেশি তাত্ত্বিক বা থিউরিটিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই, অথচ হাতেকলমে কাজ শিখতে হবে সেসব কাজকেই কারিগরি শেখার সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
নির্দিষ্ট করে তালিকা করে দিতে হবে যেকোনো কাজ কারিগরি শিক্ষার আওতায় আসবে। বাধ্যতামূলক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে যেসমস্ত শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন বা গবেষণা পর্যায়ের শিক্ষায় যেতে আগ্রহী হবে না বা যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন না, আবার সাধারণ মানের কাজ করতেও উৎসাহিত বোধ করবেন না, তারা সবাই কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। কারিগরি শিক্ষাকে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশে এখানে অধ্যায়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অনুদান বা ভাতা দেয়ার ব্যাবস্থা করা যেতে পারে। সফলভাবে কারিগরি শিক্ষা লাভের পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের বিশেষ স্বীকৃতি দানের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। বিশেষ করে এই শিক্ষা লাভের পর যারা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত তাদেরকে স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণসহ কিছু সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এসব কাজে যারা চাকবরি দেবেন তাদেরকে কারিগরি শিক্ষায় সনদপ্রাপ্তদের প্রথমে নিয়োগ দান করতে হবে। এমন বিধান করতে হবে যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে যে কোনোরকম কারিগরি বা টেকনিক্যাল কাজ করতে হলে কারিগরি শিক্ষায় সনদপ্রাপ্ত হতে হবে। অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষার সংজ্ঞায় যেসব কাজের উল্লেখ থাকবে সেসব বিষয়ে কাজ করতে হলে কারিগরি শিক্ষার সনদ থাকা বাধ্যতামূলক।
একইভাবে যেসব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি তাদের কারিগরি বা টেকনিক্যাল কাজের জন্য লোকবল নিয়োগ করবেন তারা কারিগরি শিক্ষায় সনদপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেবেন। কারিগরি শিক্ষার সংজ্ঞায় যেসব কাজের উল্লেখ থাকবে সেসব কাজের জন্য নিয়োগ করতে হলে কারিগরি শিক্ষার যাদের সনদ থাকবে শুধুমাত্র তাদেরকেই নিয়োগ করা যাবে। কারিগরি শিক্ষায় সনদ নেই এমন কাউকে দিয়ে সেসব কাজ করানো সম্পূর্ণরূপে নিসিদ্ধ করতে হবে।
দেশে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে এই শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করে সঠিকভাবে সম্প্রসারণ করতে পারলে, বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশ্বে ইতোমধ্যে কারিগরি বা টেকনিক্যাল কাজে পারদর্শী জনশক্ত্রির বড় অভাব। এই কাজে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কারিগরি বা টেকনিক্যাল কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকবে, যা জনশক্তি রপ্তানির এক বিশাল বাজারে পরিণত হতে পারে। এই বাজার ধরতে হলে আমাদের দেশের জনশক্তিকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এমনটি তখনই সম্ভব হবে যখন দেশে কারিগরি শিক্ষাকে আধুনিক করে তোলার পাশাপাশি এই শিক্ষার সুযোগ অবারিত করা হবে। এ কথা অনস্বীকার্য যে আমাদের দেশের জনশক্তিকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে আমরা বিশ্বের দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির বাজার ধরতে পারবো। আবার এটাও একটি বাস্তবতা যে দেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করতে না পারলে, আমরা যে শুধু বিশ্বে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ হারাবো তেমন নয়, সেই সঙ্গে আমাদের যে বিশাল অদক্ষ জনশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত আছে তাদের সংখ্যাও দিন দিন হ্রাস পেতে থাকবে। কেনোনা আজ যেসব কাজ অদক্ষ শ্রমিকদের দ্বারা সম্পন্ন করা হচ্ছে সেগুলো আস্তে আস্তে দক্ষ শ্রমিকদের দখলে চলে যাবে। এ কারণেই আগামী দিনের পরিবর্তিত অবস্থার কথা মাথায় রেখে দেশে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজে গুরুত্ত্ব দিতে হবে।
মোটকথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তূলতে হলে পর্যাপ্ত কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে একদিকে বেশি প্রয়োজন হবে খুবই সাধারণ মানের কাজ করারা উপযুক্ত জনশক্তি যা বাধ্যতামূলক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা লাভ করেই অর্জন করতে পারবে। এর পাশাপাশি যে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জনশক্তির প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। তাই সময় থাকতেই এদিকে গুরুত্ত্ব দেয়া প্রয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তনের কাজে হাতে দিতে হবে সেখানে কারিগরি শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে এই উদ্দেশ্য যথেষ্ট পরিমাণে সফল করা সম্ভব।
লেখক: সার্টিফাইড অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং স্পেশালিস্টি ও ব্যাংকার, কানাডা