যুক্তিবাদী, মুক্তচিন্তাদীপ্ত, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিকবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে জ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্র তথা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্বায়ন ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের কারণে উচ্চতর শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষানীতিতে বিশ^ব্যাপী ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রত্যয়টি সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যক্তির সম্পৃক্ততা ও সম্যক জীবনযাপনের গুণগত পরিমাণ দ্বারা পরিমাপযোগ্য। একটা জাতিকে বিশ^দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে মানবসম্পদকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাই মানবসম্পদকে প্রকৃত সম্পদে পরিণত করতে হলে মানবের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, জ্ঞানগত ও পেশাগত দক্ষতা, কর্মসংস্থান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উন্নতির প্রয়োজন। জ্ঞান ব্যবস্থাপনা ও জ্ঞান পুনঃউৎপাদনের পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমস্যাবলি, আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি উৎকর্ষ, আধুনিক শিল্প ও বাজার ব্যবস্থাপনা জ্ঞান, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, টেকসই সমাজ ব্যবস্থাপনার সমস্যাবলিকে শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে সমন্বিতভাবে সংযুক্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় এনে এর বিভিন্ন ব্যবস্থাপনাকে কারিগরি অটোমেশনে ফেলে সেন্সিবল করতে পারলে বেশ কিছু মৌলিক উন্নতি আসবে। অভাবনীয় কারিগরি উৎকর্ষের যুগে বাংলাদেশের ইন্টেলেকচুয়াল, একাডেমিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও রিসোর্স ডেপেলপমেন্টগুলো কেমন হবে, তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবা উচিত। বাংলাদেশের বিজ্ঞান, প্রকৌশল প্রযুক্তি পড়ানো কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে উচ্চস্তরের প্রায়োগিক গণিত, প্রায়োগিক পরিসংখ্যান, কোডিং, রোবটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পড়ানোর ইনফ্রাস্ট্রাকচার যদিও রয়েছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ^বিদ্যালয়ে রোবটিকস পূর্ণাঙ্গ বিষয় হিসেবে পড়ানো হচ্ছে। বহুবিধ ডোমেইনে উচ্চস্তরে ডেটা মাইনিং, ফলিত পরিসংখ্যান ও এআই কনটেন্ট আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে সব কটি বিশ^বিদ্যালয়েরই ডিজিটালাইজড করে রূপান্তর করতে হবে। সরকার গণিত অলিম্পিয়াড, সায়েন্স অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক রোবট অলম্পিয়াডে গুরুত্ব দিচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে রূপান্তর করতে হবে যেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আন্তর্জাতিক মানে বিষয়ভিত্তিক কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা নিয়েই শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করতে পারে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থাৃন বাজারের চাহিদার আলোকে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। একটি ডিজিটাল বিশ^বিদ্যালয় দিয়ে সামগ্রিকভাবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সামগ্রিক প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়, প্রয়োজন সামগ্রিক শিক্ষা রূপান্তর। উচ্চশিক্ষায় ২০৩০ পর্যন্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সফল অংশীদার হওয়ার সম্ভাবনার দিকগুলো যেমন আছে, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জও আছে। সেগুলো মোকাবিলা করে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আর সেই প্রস্তুতের ক্ষেত্রটা হলো শিক্ষা। দেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার জন্য শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ
করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে স্মার্ট বানাতে সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছিলেন এবং তিনি যেভাবে চিন্তা করেছিলেন, তা অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি করে দিয়েছেন। প্রকৃত শিক্ষাবিদ ও বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। সার্বিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্বাধীনতার পর নতুন নতুন বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন, সম্প্রসারণ, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন, বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার চাহিদা নিরূপণ, উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং একটি মেধাসম্পন্ন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন করার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও প্রয়োজনীয়তার দিকটি জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন।উচ্চশিক্ষার প্রসার ও মানসম্মত উন্নয়নই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশে^র কাতারে আসীন করার পথকে সুগম করবে। বর্তমান সময়ে একটি দেশের উন্নয়ন পরিমাপের ক্ষেত্রে শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই একমাত্র নির্দেশক নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নও একটি প্রধান অনুষঙ্গ। এ কারণে মানবসম্পদ উন্নয়ন এখন বৈশি^ক উন্নয়ন এজেন্ডার অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচিত। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পল জে মায়ার মানবসম্পদকে একটি দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে অভিহিত করেছেন। আর এই জনশক্তি তখনই দক্ষ মানসম্পদে রূপান্তরিত হবে, যখন তথা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। আমাদের বিপুল জনশক্তিকে যদি দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে পারি, তা হলে আমরাও উন্নত বিশে^র সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারব। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার চতুর্থ হলো শিক্ষা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান তৈরি ও বৈশি^ক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভাবনমূলক গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া। অর্থাৎ শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই হবে না, একই সঙ্গে এর প্রায়োগিক ব্যবহারও জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একটি ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে রূপকল্প-২০২১, এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০। এরই আলোকে জাতীয় শিক্ষানীতিকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে মিল রেখে উচ্চশিক্ষার কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। অবাধ বুদ্ধিচর্চা, মননশীলতা ও চিন্তার স্বাধীনতা বিকাশে সহায়তাদান হচ্ছে এর অন্যতম লক্ষ্য। উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে এ দেশের উদীয়মান বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সমৃদ্ধি পূর্ব এশিয়া এবং নর্ডিক অঞ্চলের দেশসমূহে দৃশ্যমান। নিরলস জ্ঞানচর্চা ও নিত্যনতুন বহুমুখী মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার মধ্য দিয়ে জ্ঞানের দিগন্তের ক্রমপ্রসারণের কাজও চলছে। রাষ্ট্রীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের উপযোগী অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, মানবমুখী, প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনস্ক ও দূরদর্শী নাগরিক সৃষ্টি করতেও কাজ করতে হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা, সৃজন ও মননশীলতা ও উদ্ভাবনী হতে জ্ঞানের নব নব ক্ষেত্র সৃষ্টি করার পাশাপাশি মেধার বিকাশ এবং সৃজনশীল নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবনেও সহযোগিতা করতে হবে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু সুপারিশমালা বাস্তবে কাজে লাগাতে হবে। জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের উপযোগী বিজ্ঞানমনস্ক, উদারনৈতিক, মননমুখী, প্রগতিশীল ও দূরদর্শী নাগরিক সৃষ্টি। জ্ঞানচর্চা, গবেষণা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী হতে জ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা। মেধার বিকাশ এবং সৃজনশীল নতুন নতুন পথ ও পদ্ধতির উদ্ভাবন। আধুনিক ও দ্রুত অগ্রসরমান বিশে^র সঙ্গে কার্যকর পরিচয় ঘটানো। জ্ঞান সৃজনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নাগরিক সৃষ্টি করা। শিক্ষার উদ্দেশ্যকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে হবে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষা মডেল গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার সঙ্গে প্রশিক্ষণসহ শিল্প এবং শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে হবে। প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ আন্তর্জাতিক মননশীলতা ও মানসিকতায় প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষকদের নতুন নতুন বিষয় ও প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি এডুকেশন সেন্টার চালু করতে হবে। ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করাসহ বাধ্যতামূলক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট থাকতে হবে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের জীবনযাত্রার, কাজ করার এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার মৌলিক পদ্ধতিগুলোর সমূলে পরিবর্তন সাধন করতে পারে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লব কিন্তু চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও এটা শারীরিক, ডিজিটাল ও জৈবিক জগৎকে এমনভাবে একত্রিত করবে; যা নতুন সম্ভাবনা ও অনিয়ন্ত্রিত ভয়াবহ বিপদ উভয়েরই সৃষ্টি করতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তুত করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ইন্ডাস্ট্রির উপযোগী স্মার্ট কারিকুলাম ও পাঠদান পদ্ধতি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অপরিহার্য।
ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন স্মার্ট জাতি বিনির্মাণে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শিক্ষা বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা অপরিহার্য। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেসব দক্ষতা, অনুষঙ্গ ও কোর্স কারিকুলাম দরকার, সেগুলোর সঙ্গে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচিত হতে হবে। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে Outcome Based Education (OBE) পদ্ধতি গ্রহণ করে পাঠদান শুরু করেছে। বিশে^র উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশও শিক্ষাব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মান অর্জনে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য নিয়ে, উচ্চতর শিক্ষায় National Quality Assurance অর্থাৎ জাতীয় মানের আশ্বাস আনয়নের জন্য তাদের উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণ করেছে। বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ঙইঊ পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য বলেছে। চলমান শিক্ষাব্যবস্থায় যেখানে সিজিপিএকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু ঙইঊ শিক্ষাব্যবস্থায় একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটা সুনির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনভিত্তিক শিক্ষা। এ প্রক্রিয়ায় সেমিস্টার শেষে একজন শিক্ষার্থী কী শিখল, তা পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করাও সহজ। এখানে একজন শিক্ষক কী পড়ালেন সেটা মুখ্য বিষয় নয়, বরং শিক্ষার্থীরা কী শিখলেন বা জানলেন সেটাই বিবেচ্য বিষয়। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিক হলে দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও এর মানের উন্নয়ন হবে।
লেখক: ড. মোরশেদুল আলম, শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়