ইংরেজ লেখক ও চিকিৎসক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার পুরো নাম আর্থার ইগনেতিয়াস কোনান ডয়েল। শার্লক হোম্সের গল্পগুলোর জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তার অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে কল্পবিজ্ঞান গল্প, নাটক, প্রেমের উপন্যাস, কবিতা, ননফিকশন, ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং রম্যরচনা।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ মে যুক্তরাজ্যর স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবন ছিলো বহুমাত্রিক এবং রোমাঞ্চপূর্ণ। তিনি একাধারে ছিলেন একজন ইতিহাসবিদ, তিমি শিকারী, ক্রীড়াবিদ, যুদ্ধ-সাংবাদিক এবং আত্মিকবাদী।
জীবনের প্রথম ভাগে, তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেষজবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং শেষতক লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। ভেষজ-ব্যবসায় গা-ছাড়া ভাবের কারণে তার হাতে থাকতো বিস্তর অবসর। এবং এমনি একসময়ে তিনি সুবিখ্যাত শার্লক হোম্স সিরিজের গল্পগুলো লিখতে শুরু করেন। তার প্রথম সাফল্য ছিলো ‘রক্তসমীক্ষা’। এটি সর্বপ্রথম ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বিটনের বড়দিনের বার্ষিকীতে প্রকাশিত হয়।
১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে ‘চিহ্নচতুষ্টয়’ প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি ভেষজ-ব্যবসা ছেড়ে দেন এবং লেখা-লেখিতে পুরোমাত্রায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি অনেক গল্প, কল্প-কাহিনী এবং ইতিহাস-কেন্দ্রিক রোমাঞ্চ কাহিনী লিখলেও বিখ্যাত চরিত্র শার্লক হোম্সকে নিয়ে লেখা গোয়েন্দা-কাহিনিগুলোই তাকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। এই হোমস্ চরিত্রটির ওপর একঘেয়েমিজনিত বিরক্তির কারণে ডয়েল যখন ‘শেষ সমস্যা’ কাহিনিতে হোম্সকে মেরে ফেলেন, তখন জনতার দাবির মুখে হোমস চরিত্রটিকে অলৌকিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে বাধ্য হন।
বাস্তব জীবনেও তিনি দু’দুবার গোয়েন্দাগিরি করে অন্যায়ভাবে দোষী-সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সফল হন। ডয়েলকে বোয়ের যুদ্ধের সময় দক্ষিণ আফ্রিকান এক মাঠ-চিকিৎসাকেন্দ্রে অবদান রাখার জন্য ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল মৃত্যুবরণ করেন।